বরগুনায় অপারেশন করেন 'ফাইভ পাস' পরিচালক Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৪৩ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আঘাত হানতে পারে যেদিন কলাপাড়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষককে ব্যতিক্রমী বিদায়ী সংবর্ধনা মহিপুর থানা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় উদ্বোধন শেবাচিমের সংকট কাটিয়ে উঠতে কাজ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ: সচিব বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম উদ্বোধন অচিরেই বরিশালে বসবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিক জীবন কৃষ্ণ মন্ডল’র পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন প্রতিমন্ত্রী আমার সব শক্তি-সাহস মা-বাবার কাছ থেকে পেয়েছি: প্রধানমন্ত্রী মাছ শিকার করতে গিয়ে শিক্ষার্থীর শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়ল ৬ ইঞ্চির বাইন কলাপাড়ায় অর্ধশতাধিক অসহায় মানুষ পেল প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা




বরগুনায় অপারেশন করেন ‘ফাইভ পাস’ পরিচালক

বরগুনায় অপারেশন করেন ‘ফাইভ পাস’ পরিচালক

বরগুনায় অপারেশন করেন 'ফাইভ পাস' পরিচালক




বেতাগী প্রতিনিধি॥ বরগুনার বেতাগী বাসস্ট্যান্ডের পূর্বপাশে বেতাগী-মির্জাগঞ্জ সড়কে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে মাতৃছায়া জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার।

 

সেবার নামে এ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চলছে গলাকাটা রমরমা বাণিজ্য। প্রসূতি মায়েদের গর্ভের সন্তান সিজার করার সময় একাধিক শিশু ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ফলে সাধারণ মানুষ টাকা খরচ করেও উপযুক্ত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

 

 

জানা গেছে, বরগুনার বেতাগী পৌর শহরে বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশে ২০১৮ সালের মে মাসে মাতৃছায়া জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিক গড়ে ওঠে। ক্লিনিকের মালিক ও পরিচালক আবুল বাশার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদন ছাড়াই ক্লিনিকটি গড়ে তোলেন।

 

তিনি ইচ্ছামতো নিয়ম-কানুন তৈরি করে বছরের পর বছর রমরমা বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন। নেওয়া হচ্ছে ইচ্ছামাফিক ফি। হাতুড়ে টেকনিশিয়ানরা অনেক ক্ষেত্রেই দিচ্ছেন মনগড়া রিপোর্ট। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় কিছু আওয়ামী লীগ নেতার ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়ে তাদের ছত্রছায়ায় এ অবৈধ অনুমোদনবিহীন ক্লিনিক চলছে।

 

 

সরকারি কোনো লাইসেন্স নেই। প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে তাদের এ কর্মকাণ্ড চালছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই চলছে রোগী দেখা থেকে অপারেশন পর্যন্ত। ক্লিনিকের পরিচালক আবুল বাশার নিজে অপারেশন করছেন- এমন অভিযোগ একাধিক ভুক্তভোগী রোগীর।

 

 

বেতাগী বাসস্ট্যান্ডের হোটেল ব্যবসায়ী শওকত হোসেন জানায়, ক্লিনিকের মালিক আবুল বাসার নিজে অশিক্ষিত হয়ে সিজার করে গর্ভের একাধিক সন্তান নষ্ট করেছে।

 

 

অভিযোগ রয়েছে, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্য বিভাগের কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করে না। নেই কোনো জরুরি বিভাগ, নেই রোগ নির্ণয়ের মানসম্মত যন্ত্রপাতি, পরীক্ষাগার বা ল্যাব টেকনোলজিস্ট। মাঝেমধ্যে ধার করা পার্টটাইম চিকিৎসক দিয়ে চলছে জটিল অপারেশনসহ নানা চিকিৎসা। কমবেতনের অনভিজ্ঞ নার্স, আয়া ও দারোয়ানই হচ্ছে এ ক্লিনিকের ভরসা।

 

 

কম্পিউটারাইজড, পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ও অত্যাধুনিক নামে নামিদামি চিকিৎসকদের নাম সংবলিত চোখ ধাঁধানো ব্যানারসহ ডিজিটাল সাইনবোর্ডসর্বস্ব এ ক্লিনিকে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের অসহায় মানুষ রোগ নিরাময়ের জন্য এসে অপচিকিৎসার জালে আটকা পড়ছেন। বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সহজ-সরল অসহায় মানুষগুলো প্রতিনিয়তই তাদের পাতা ফাঁদে আটকে নিঃস্ব হচ্ছেন।

 

 

ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বসার কথা মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করে বলা হলেও তাদের কেউ কেউ মাসে দু-একবার এসে অপারেশন করে চলে যান। এ ক্লিনিকে নিয়মিত কোনো চিকিৎসক থাকেন না। এসব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নাম ভাঙিয়ে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।

 

জেলা কিংবা উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত মনিটরিং কিংবা জবাবদিহি নেই, নেই কোনো নজরদারি।

 

 

মাতৃছায়া জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালাক আবুল বাশারের সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার ক্লিনিকে গিয়ে যোগাযোগ করতে চাইলে তাকে পাওয়া যায়নি এবং তাঁর ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

 

ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব থাকা সোহাগ হাওলাদার জানায়, পরিচালক আবুল বাশার গত তিন সপ্তাহ যাবত বরিশাল গেছেন। ফোন কেন বন্ধ করে রেখেছে এ বিষয় আমি কিছু বলতে পারব না। তবে ক্লিনিকের বিষয় মালিকের অনুমতি ছাড়া তিনি কোনো তথ্য দিতে চাননি।

 

 

বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা রবীন্দ্রনাথ সরকার বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তেং মং বলেন, বেতাগীতে ৫টি ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্টিক সেন্টার রয়েছে। এদের দুটিতে লাইসেন্স থাকলেও মাতৃছায়া জেনারেল হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কোনো কাগজপত্র নেই। তিনি আরো বলেন, এ অবৈধ ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

 

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সুহৃদ সালেহীন বলেন, এ বিষয়ে আমরা তদন্ত করে দেখব। অপরাধমূলক কোনো কাজ করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD